আপনি খুব সহজেই জানতে পারবেন সকল রানার বাইক দাম ২০২৩ (রানার মোটরসাইকেল দাম 2023) সালের বর্তমান মূল্য তালিকা অনুযায়ী। আপনি যদি বাংলাদেশে রানার স্কুটি বা বাইকের দাম কত জানতে চান এবং সঠিক বাইকটি কিনতে চান তাহলে সময় অপচয় না করে এখনি ভিজিট করুন এবং জেনে নিন আপনার পচ্ছন্দের রানার বাইকের দাম ও রানার বাইক ছবি বিস্তারিত তথ্যসহ।
![]() বাজাজ বাইক |
![]() ইয়ামাহা বাইক |
![]() টিভিএস বাইক |
![]() হোন্ডা বাইক |
---|
![]() সুজুকি বাইক |
![]() হিরো বাইক |
![]() রানার বাইক |
![]() কেটিএম বাইক |
---|
![]() টারো বাইক |
![]() এপ্রিলিয়া বাইক |
![]() কাওয়াসাকি বাইক |
![]() বেনেলি বাইক |
---|
রানার মোটরসাইকেল হচ্ছে অরিজিনাল বাংলাদেশি একটি মোটরসাইকেল ব্র্যান্ড। আর এই রানার ব্র্যান্ডের মোটরসাইকেলগুলো এখন বর্তমানে বাংলাদেশে বেশ সফল এবং জনপ্রিয় একটি মোটরসাইকেল ব্র্যান্ড। বিশেষ করে বাংলাদেশের সাধারণ মোটরসাইকেল প্রেমিদের কাছে এটি বেশ জনপ্রিয় একটি মোটরসাইকেল যার অন্যতম কারণ হচ্ছে স্বল্প মূল্যের মধ্যে এবং সাধ্যের মধ্যে ভাল মানের মোটরসাইকেল ক্রয় করতে পারেন মোটরসাইকেল প্রেমিরা। রানার মূলত স্ট্যান্ডার্ড ক্যাটাগরির মোটরসাইকেল তৈরি করে থাকে এবং ৮০ থেকে শুরু করে ১৫০ সিসি সব ধরণের মোটামুটি ভাল মানের মোটরসাইকেল রয়েছে রানার ব্র্যান্ডের। আজকে আমি রানার ব্র্যান্ডের মোটরসাইকেল সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আকারে আলোচনা করবো এবং এদের মুল্য তালিকা উপস্থাপন করবো। আশা করি সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে মোটরসাইকেল প্রেমিরা রানার ব্র্যান্ডের মোটরসাইকেলগুলোর সাথে পরিচিত হয়ে যাবেন।
তো চলুন জেনে নেয়া যাক রানার ব্র্যান্ডের মোটরসাইকেলগুলো সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আকারে তথ্য এবং এদের মূল্য সমূহ।
রানার এ ডি ৮০ এস এল্লোইঃ রানার এ ডি ৮০ এস এল্লোই একটি স্ট্যান্ডার্ড ক্যাটাগরির ৮০ সিসির বাইক। এই বাইকের ডিস্প্লেসিমেন্ট ইঞ্জিন ৭৯ সিসি এবং এর সাথে আছে ৪টি স্ট্রোক এবং একটি সিঙ্গেল সিলিন্ডার ধরণের ইঞ্জিন। রানার এ ডি ৮০ এস এল্লোই বাইকের সর্বচ্চ স্পিড হচ্ছে ৮৫ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টাই এবং এর মাইলিয়েজ ৬০ কিলোমিটার প্রতি লিটারে। এই বাইকের ব্রেকের ধরণ এই বাইকের সামনে এবং পেছনে উভয় দিকেই ড্রাম ধরণের ব্রেক রয়েছে।
রানার বুলেট ১০০: রানার বুলেট ১০০ স্ট্যান্ডার্ড ক্যাটাগরির একটি বাইক। এই স্ট্যান্ডার্ড ক্যাটাগরির বাইকের ডিস্প্লেসিমেন্ট ইঞ্জিন ১০০.৫৪ সিসি যার সাথে আছে একটি সিঙ্গেল সিলিন্ডার, ৪টি স্ট্রোক, একটি এয়ার কোল্ড এবং পেট্রোল ইঞ্জিন। রানার বুলেট ১০০ বাইকের সর্বচ্চ স্পিড হচ্ছে ১০০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টাই এবং এর মাইলিয়েজ ৫০ কিলোমিটার প্রতি লিটারে। এই বাইকের ব্রেকের ধরণ এই বাইকের সামনে ডিস্ক ব্রেক এবং পেছনে ড্রাম ধরণের ব্রেক রয়েছে।
রানার এফ ১০০-৬ এঃ রানার এফ ১০০-৬ এ এটি একটি স্ট্যান্ডার্ড ক্যাটাগরির ১০০ সিসির বাইক। এই বাইকের ডিস্প্লেসিমেন্ট ইঞ্জিন ১০০ সিসি যার সাথে আছে একটি সিঙ্গেল সিলিন্ডার এবং ৪টি স্ট্রোক ধরণের ইঞ্জিন। রানার এফ ১০০-৬এ বাইকের সর্বচ্চ স্পিড হচ্ছে ৮০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টাই এবং এর মাইলিয়েজ ৬০ কিলোমিটার প্রতি লিটারে। এই বাইকের ব্রেকের ধরণ এই বাইকের সামনে এবং পেছনে উভয় দিকেই ড্রাম ধরণের ব্রেক রয়েছে।
রানার চিতাঃ রানার চিতা একটি ১০০ সিসির স্ট্যান্ডার্ড ক্যাটাগরির বাইক। এই বাইকের ডিস্প্লেসিমেন্ট ইঞ্জিন ১০০ সিসি যার সাথে আছে একটি সিঙ্গেল সিলিন্ডার, ৪টি স্ট্রোক, একটি এয়ার কোল্ড এবং পেট্রোল ইঞ্জিন। রানার চিতা বাইকের সর্বচ্চ স্পিড হচ্ছে ৭০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টাই এবং এর মাইলিয়েজ ৬০ কিলোমিটার প্রতি লিটারে। এই বাইকের ব্রেকের ধরণ এই বাইকের সামনে এবং পেছনে উভয় দিকেই ড্রাম ধরণের ব্রেক রয়েছে।
রানার কাইট+ : রানার কাইট+ একটি ১১০ সিসির স্কুটার। এই ১১০ সিসির স্কুটারের ডিস্প্লেসিমেন্ট ইঞ্জিন ১১০ সিসি এবং এর সাথে থাকছে ৪টি স্ট্রোক, একটি সিঙ্গেল সিলিন্ডার এবং একটি এয়ার কোল্ড সমৃদ্ধ ইঞ্জিন। রানার কাইট+ স্কুটারের সর্বচ্চ স্পিড ৮০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টাই এবং এর মাইলিয়েজ ৬০ কিলোমিটার প্রতি লিটারে। এই স্কুটারের ব্রেকের ধরণ এই স্কুটারের সামনে ডিস্ক ব্রেক এবং পেছনে ড্রাম ধরণের ব্রেক রয়েছে।
রানার রয়েল+ ১১০: রানার রয়েল+ ১১০ একটি স্ট্যান্ডার্ড ক্যাটাগরির বাইক। এই বাইকের ডিস্প্লেসিমেন্ট ইঞ্জিন ১০৯.১ সিসি যার সাথে আছে একটি সিঙ্গেল সিলিন্ডার, ৪টি স্ট্রোক, একটি এয়ার কোল্ড এবং পেট্রোল ইঞ্জিন। রানার রয়েল+ ১১০ বাইকের সর্বচ্চ স্পিড হচ্ছে ৮৫ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টাই এবং এর মাইলিয়েজ ৫৫ কিলোমিটার প্রতি লিটারে। এই বাইকের ব্রেকের ধরণ এই বাইকের সামনে ডিস্ক ব্রেক এবং পেছনে ড্রাম ধরণের ব্রেক রয়েছে।
এল এম এল ফ্রিডমঃ এল এম এল ফ্রিডম একটি স্ট্যান্ডার্ড ক্যাটাগরির ১১০ সিসির বাইক। এই বাইকের ডিস্প্লেসিমেন্ট ইঞ্জিন ১১০ সিসি যার সাথে আছে একটি সিঙ্গেল সিলিন্ডার, ৪টি স্ট্রোক, একটি এয়ার কোল্ড এর সাথে সিঙ্গেল ওভারহেড ক্যাম এবং ২টি ভাল্ভ সমৃদ্ধ ইঞ্জিন। এল এম এল ফ্রিডম বাইকের সর্বচ্চ স্পিড হচ্ছে ১০০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টাই এবং এর মাইলিয়েজ ৬০ কিলোমিটার প্রতি লিটারে। এই বাইকের ব্রেকের ধরণ এই বাইকের সামনে এবং পেছনে উভয় দিকেই ড্রাম ধরণের ব্রেক রয়েছে।
রানার তুরবো ১২৫: রানার তুরবো ১২৫ একটি স্ট্যান্ডার্ড ক্যাটাগরির বাইক। এই বাইকের ডিস্প্লেসিমেন্ট ইঞ্জিন ১২৪.৬ সিসি যার সাথে আছে একটি এয়ার কোল্ড, ৪টি স্ট্রোক এবং পেট্রোল ধরণের ইঞ্জিন। রানার তুরবো ১২৫ বাইকের সর্বচ্চ স্পিড হচ্ছে ১১০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টাই এবং এর মাইলিয়েজ ৫৫ কিলোমিটার প্রতি লিটারে। এই বাইকের ব্রেকের ধরণ এই বাইকের সামনে ডিস্ক ব্রেক এবং পেছনে ড্রাম ধরণের ব্রেক রয়েছে।
রানার নাইট রাইডারঃ রানার নাইট রাইডার হচ্ছে ১৫০ সিসির একটি স্ট্যান্ডার্ড ক্যাটাগরির বাইক। এই বাইকের ডিস্প্লেসিমেন্ট ইঞ্জিন ১৫০ সিসি যার সাথে আছে একটি সিঙ্গেল সিলিন্ডার, এসওএইচসি, ৪টি স্ট্রোক, একটি এয়ার কোল্ড এবং পেট্রোল ইঞ্জিন। রানার নাইট রাইডার বাইকের সর্বচ্চ স্পিড হচ্ছে ১২০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টাই এবং এর মাইলিয়েজ ৫০ কিলোমিটার প্রতি লিটারে। এই বাইকের ব্রেকের ধরণ এই বাইকের সামনে ডিস্ক ব্রেক এবং পেছনে ড্রাম ধরণের ব্রেক রয়েছে।
রানার তুরবো ১৫০: রানার তুরবো ১৫০ একটি স্ট্যান্ডার্ড ক্যাটাগরির ১৫০ সিসির বাইক। এই বাইকের ডিস্প্লেসিমেন্ট ইঞ্জিন ১৪৮.২ সিসি যার সাথে আছে একটি সিঙ্গেল সিলিন্ডার, ৪টি স্ট্রোক, একটি এয়ার কোল্ড এবং পেট্রোল ইঞ্জিন। রানার তুরবো ১৫০ বাইকের সর্বচ্চ স্পিড হচ্ছে ১১০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টাই এবং এর মাইলিয়েজ ৪৫ কিলোমিটার প্রতি লিটারে। এই বাইকের ব্রেকের ধরণ এই বাইকের সামনে ডিস্ক ব্রেক এবং পেছনে ড্রাম ধরণের ব্রেক রয়েছে।