বাজাজ পালসার ১৫০ বাইক সম্পর্কে কিছু বলতে গেলে, প্রথমেই এর লুকিং সম্পর্কে বলতে হয় । সত্যিই এটি দেখতে অসাধারন। সব বয়সের বাইকারদেরকে এটি মানায়। বাজাজ পালসার ১৫০ বাংলাদেশের সকল বাইকারদের পছন্দের তালিকায় প্রথম। বাইকটির রয়েছে ডাইনামিক বডি, কুল সাসপেনশন, টেইল ল্যাম্প এর LED ফ্লাশ, আকর্ষণীয় কালার যা একজন বাইক প্রেমীকে সহজেই আকর্ষন করে। আজ বাজাজের সুনামতো আকাশচুম্বি এবং এর স্পেয়ার পার্টসও অনেক সহজলভ্য।
ইঞ্জিনঃ
বাজাজ পালসারের রয়েছে ফোর স্ট্রোক ডিটিএসআই ইঞ্জিন। যার টর্ক ৯০০০ আরপিএম। ১৫০ সিসির বাইক হিসেবে এর ইঞ্জিনটি অনেক শক্তিশালী। এর রয়েছে ৫ স্পীড এর গিয়ার বক্স ও ডিজিটাল স্পিডোমিটার।
টায়ারঃ
বাজাজ পালসার বাইকটির রয়েছে টিউবলেস টায়ার যা আপনাকে দেবে স্বস্তিদায়ক রাইডিং। এর নিট্রোক্স শক এবজর্ভার এর কারণে আপনি পাবেন ঝাকুনিবিহীন রাইডিং অভিজ্ঞতা।
ব্রেকিং সিস্টেমঃ
এই বাইকটির পিছনের ড্রাম ব্রেকটা খুব ভালো রেসপন্স করে। রাইডারের সিটিং পজিশন দেখতে চমৎকার। ১৪৩ কেজি ওজনের বাইকটিকে ফুল স্পিডে চালানোর পরও নিশ্চিন্তে রাইড ব্রেক করা যায়।
সাসপেনশন ও সিটিংঃ
এই বাইরে সাসপেনশন সিস্টেম যথেষ্ট আরামদায়ক, এটা সহজেই রাস্তার উঁচুনিচু ও খানাখন্দে মানিয়ে নিতে পারে। তাছাড়া পালসার যেকোন রাস্তায় চালানো অনেক সহজ। এর ১৭০ মিমি গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স রাস্তার যেকোনো ধরনের বাধা ডিঙিয়ে যেতে পারে। বাজাজ পালসারের সিটিং পজিশন খুবই আরামদায়ক এটি বেশি স্পোর্টি এবং ক্যাজুয়াল। এটা লম্বা ভ্রমণের জন্য খুবই উপযোগী একটি বাইক।
ব্যাটারি ও মাইলেজঃ
এর রয়েছে ১২ ভোল্ট ডিসি ব্যাটারি যার কারণে রাতের বেলায় নিশ্চিন্তে রাইড করা যায় । বাজাজ পালসারের ৫৩ লিটার পর্যন্ত মাইলেজ পাওয়া যায় যা সত্যিই অবিশ্বাস্য। ব্রেক ইন পিরিয়ডে একদিনে ৩০০ কিলোমিটার রাইডিং করেও কোন সমস্যা পাওয়া যায়নি। এই কারনেই বাজাজ পালসারকে হাইওয়ের রাজা বলা যায়। শহরে ৩ গিয়ারে ও হাইওয়েতে ৫ গিয়ার শিফটে আপনি পেতে পারেন অতুলণীয় মাইলেজ।
ভালো বৈশিষ্ট্য সমুহ:
খারাপ বৈশিষ্ট্য সমুহ:
উপরোক্ত আলেচনা সাপেক্ষে বলা যায় যে বাজাজ পালসার ১৫০ বাংলাদেশের বাজারে সবচেয়ে আকর্ষনিয় একটি মোটরসাইকেল। দ্রুতগতির বাইকাদের জন্য এটি অপ্রতিদন্ধী একটি বাইক।
আজকের দাম জানতে ক্লিক করুন - বাজাজ পালসার ১৫০